বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি আরও ঘণীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এতে দেশের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য অঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে আগামী ৪৮ ঘণ্টায়।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক সতর্কবার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়, নিম্নচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আরও শক্তিশালী হতে পারে। এর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় ভারী (৪৪-৮৮ মি.মি.) থেকে অতিভারী (>৮৮ মি.মি.) বৃষ্টিপাত হতে পারে।
চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার পাহাড়ি এলাকাগুলোতে ভূমিধসের শঙ্কাও রয়েছে। রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামের কিছু এলাকায় সাময়িক জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অফিস।
সতর্কবার্তায় আরও জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবার সম্ভাবনা না থাকলেও উপকূলীয় অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় দেশের চারটি সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, লঘুচাপটি ইতোমধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে বিভিন্ন এলাকায় দমকা হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। তিনি বলেন, “এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবার সম্ভাবনা নেই, তবে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।”
সামাজিকমাধ্যমে আবহাওয়া বিষয়ক ভুয়া তথ্য ছড়ানোর বিষয়ে সতর্ক করে মল্লিক বলেন, “আবহাওয়া অধিদফতরের অনুমোদিত পূর্বাভাস ছাড়া অন্য কোনো সূত্রে প্রভাবিত না হওয়ার অনুরোধ করছি।”
এদিকে নদীবন্দরগুলোর জন্য আলাদা এক সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, আজ খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিমি বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া অন্য অঞ্চলে ৪৫-৬০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে এবং সে জন্য ১ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে।